যশোর জেলার পুলিশ সুপার জনাব প্রলয় কুমার জোয়ারদার, বিপিএম (বার), পিপিএম মহোদয়ের দিক-নির্দেশনায় ওসি ডিবি রুপন কুমার সরকার, পিপিএম (বার) এর তত্ত্বাবধানে জেলা গোয়েন্দা শাখার এলআইসি টিম জেলায় সংঘটিত বিভিন্ন চুরি, ডাকাতি, অপহরণ, হত্যার রহস্য উদঘাটনসহ অবৈধ অস্ত্রগুলি উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

তারই ধারাবাহিকতায় গত ইং ১৬/১০/২০২৩ তারিখ ভোর ০৬.৩০ ঘটিকার সময় মণিরামপুর থানাধীন পাচাকড়ি সাকিনের মৃত রণজিৎ বিশ্বাস এর ছেলে নেহালপুর স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক উদয় ও ১৬ নং নেহালপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি, টেকেরঘাট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শংকর বিশ্বাসকে গুলি করে হত্যা করে অজ্ঞাতনামা দুস্কৃতকারীরা। এই সংক্রান্তে নিহতের মা ছবি রানী বিশ্বাস বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে মনিরামপুর থানার মামলা নং-১৪, তাং-১৬/১০/২০২৩ খ্রিঃ, ধারা- ৩০২/৩৪ পেনাল রুজু হয়। মামলাটি চাঞ্চল্যকর হওয়ায় জেলার পুলিশ সুপার মামলাটি ডিবিতে তদন্তের জন্য হস্তান্তর করলে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আমিরুল ইসলাম এর নেতৃত্বে একটি টিম গত ১৭ জানুয়ারী গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভয়নগর সরখোলা সাকিনে অভিযান পরিচালনা করে ১৩.৩০ ঘটিকার সময় ঘটনায় জড়িত ৩ জনকে গ্রেফতার করে তাদের হেফাজত থেকে হত্যার মিশনে ব্যবহৃত আসামীদের মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোন জব্দ করে। পরে তাদের স্বীকার মতে পাচাকড়ি থেকে আরেক সদস্যকে গ্রেফতার করে ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা জানায়, টেকেরঘাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ নিয়ে ও ঘের নিয়ে উদয় শংকর ও পবিত্রের সাথে পূর্ব শত্রুতার জেরে পবিত্র তাকে মারার পরিকল্পনা করে। একপর্যায়ে আল-আমিনকে স্কুলের দপ্তরির চাকুরী, মোটরসাইকেল কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে উদয় শংকরকে মারার জন্য বলে অস্ত্রগুলি সরবরাহ করে। ঘটনার দিন আল-আমিন ও সুমন তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল যোগে পাঁচাকড়ি গমন করে সকাল অনুমান ০৬:৩০-০৭:০০ ঘটিকার মধ্যে উদয় শংকর টেকেরঘাট বাজার থেকে ফিরার পথে আল-আমিন মোল্লা তার হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

আটককৃত আসামীরা হচ্ছে- (১) আল আমিন মোল্লা (২৮), পিতা- হাবিবুর রহমান, (২) সুমন হোসেন (২৪), পিতা- হান্নান মোল্লা, (৩) শামীম হোসেন (২৮), পিতা- শহিদুল ইসলাম, সর্বসাং- সরখোলা, থানা- অভয়নগর, (৪) রাসেল কবীর (২৭), পিতামৃত- আঃ সালাম গাজী, সাং- পাঁচাকড়ি, থানা- মনিরামপুর, সর্বজেলা- যশোর।

অভিযানের সময় আসামীদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করে জেলা গোয়েন্দা শাখার এলআইসি টিম।